ছবি : পিক্সাবে
কলকাতা, ০৩ আগস্ট : চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান ৩, কিছুদিনের মধ্যে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে। এসবের মাঝে নতুন চমক বাংলাদেশের। শোনাল খুশির খবর। চাঁদে পাঠাবে স্যাটেলাইট। উদঘাটন করবে অজানা রহস্য। গোটা বিশ্বের সামনে নিয়ে আসবে চাঁদের সিক্রেট। চাঁদে কোথায় হবে ঘরবাড়ি? রাস্তাঘাটই বা কেমন হবে? ফসল ফলানো যাবে তো? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবে। বানাচ্ছে ছোট্ট বিস্কুটের মতো মারাত্মক শক্তিশালী অস্ত্র। দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট্ট দেশ যা করে দেখাচ্ছে, তা সত্যি বিস্ময়কর।
কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, চাঁদের রুক্ষ পাথুরে মাটিতে এখনো কিছু যৌগ সক্রিয় রয়েছে। যেখান থেকে অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জল উৎপন্ন সম্ভব। এমনকি পাওয়া যেতে পারে হাইড্রোজেন থেকে শুরু করে মিথেন, যা দিয়ে চলবে ইলেকট্রিক যন্ত্র। এবার চাঁদ নিয়ে আপনার কৌতূহল মেটাবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের শুরুতে গড়বে নতুন রেকর্ড। চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে স্যাটেলাইট ফেমটো। স্যাটেলাইট বলতে চোখের সামনে যা ভেসে ওঠে সেই ধারণা কিন্তু এখানে মেলাতে পারবেন না। এই স্যাটেলাইটের আকার মাত্র ৩৬ সেমি। ছোট্ট একটা বিস্কুটের মত। ওজন মাত্র ৫ গ্রাম। আকারে ছোট, ওজনও কম, অথচ শক্তিশালী। মাইক্রো লেভেলের এমন ডিভাইস নিয়ে কাজ করাটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ, যা করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
চাঁদে মানুষ বসবাস করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে গবেষণা করছে নাসা। জানা যাবে চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য। ২০২৪ সালের এই পরিকল্পনার আওতায়, ছোট ছোট প্রচুর মানব বিহীন স্যাটেলাইট পাঠাতে চলেছেন। সেগুলো চাঁদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করবে এমন ২২ টি দেশকে নির্বাচন করে। সেই তালিকাতে রয়েছে বাংলাদেশ। নাসার এত বড় প্রজেক্টে বাংলাদেশের যোগদান সহজ ছিল না। বিশ্বের তাবড় তাবড় বহু টিমের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে তবেই সিলেক্ট হয় বাংলাদেশের এজেন্সি টু ইনোভেইটের ফেমটো স্যাটেলাইট। যা জানিয়ে দেবে পৃথিবীর বিকল্প হিসেবে চাঁদের মাটি কতটা উপযুক্ত। বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণায় একজনের নাম না বললেই নয়। উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া সঞ্জিত মন্ডলের। এর আগেও তিনি তৈরি করেছিলেন রোবট নিকো। তিনি নাসাতে স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
বাংলাদেশের এই কাজে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছে নাসা। স্যাটেলাইটের ডিজাইন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সবই পাঠিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে তৈরি স্যাটেলাইট পাঠিয়ে দেওয়া হবে নাসার কাছে। নাসা সেটিকে পাঠাবে চাঁদে। আপাতত এই পরিকল্পনায় নাসাকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটা তরুণ টিম দিন রাত পরিশ্রম করছেন। লক্ষ্য একটাই, ভবিষ্যতে দেশকে মহাকাশের উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। গোটা বিশ্ব যেখানে এক ডাকে চিনবে বাংলাদেশকে। মহাকাশে চাঁদের দেশে থাকবে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট। মহাকাশে জানান দেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব। দেশটা এখানেই থেমে নেই, ভবিষ্যতে রকেট তৈরি করারও পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই রকেট তৈরি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় দুটো প্রতিষ্ঠানকে মোটা অঙ্কের অনুদানও দিয়েছে। এটা কি কম বড় পাওনা?
সূত্র : প্রথম কলকাতা
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan